বিজ্ঞানের শাখাবিন্যাস
নবম-দশম শ্রেণিতে আমাদের তিনটি বিজ্ঞান বই আছে- পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান। অন্য কিছু বইও কিছু কিছু মাত্রায় বিজ্ঞানের মধ্যে পড়ে। যাইহোক, বিজ্ঞানের দুটো ধরণ হলো গবেষণামূক বিজ্ঞান (Emperical Science) ও সাধারণ বিজ্ঞান (Formal Science)। সাধারণ বিজ্ঞানের মধ্যে আছে গণিত, যুক্তিবিদ্যা ও পরিসংখ্যান- যা মূলত স্বীকার্য ও সংজ্ঞার ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে গবেষণামূলক বিজ্ঞান গবেষণা ও যুক্তিপ্রয়োগনির্ভর।

গবেষণামূলক বিজ্ঞানের মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান। সামাজিক বিজ্ঞান মানব আচরণ ও সমাজ নিয়ে কাজ করে, এর মধ্যে পড়ে অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান প্রভৃতি। প্রাকৃতিক বিজ্ঞান কাজ করে প্রাকৃতিক ঘটনাবলী নিয়ে। এর মধ্যে আছে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, ভূ-বিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান প্রভৃতি।
আরো জানতে: উইকিপিডিয়া – Branches of science
পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান
জীববিজ্ঞানকে আলাদা করাটা সবচেয়ে সহজ। এখানে জীবজগৎ নিয়ে আলোচনা করা হয়। জীব ও জীবন নিয়ে আলোচনার বিজ্ঞানই জীববিজ্ঞান।
তবে পদার্থবিজ্ঞান আর রসায়নের তফাৎটা প্রথমদিকে বুঝতে একটু কঠিন হতে পারে। কারণ দুটোই পদার্থ নিয়ে কাজ করে। পদার্থবিজ্ঞান মূলত পদার্থ ও শক্তি এবং এদের অন্তঃক্রিয়া নিয়ে কাজ করে। পদার্থের বৈশিষ্ট্য (ভর, আয়তন, স্থিতিস্থাপকতা প্রভৃতি), গতি, বল, শক্তি এরকম ব্যাপারগুলো পদার্থবিজ্ঞানে গুরুত্ব পায়।
অন্যদিকে রসায়নে পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম (গলনাঙ্ক, স্ফূটনাঙ্ক, রাসায়নিক সক্রিয়তা প্রভৃতি), উপাদান, অভ্যন্তরীণ গঠন এবং পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হয়। পদার্থের মধ্যকার ক্রিয়া-বিক্রিয়া ও পরিবর্তন রসায়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে।
তবে দিনশেষে বিষয়গুলো আমরা শুধু আমাদের আলোচনার চর্চার সুবিধার্থে ভাগ করে নিয়েছি। আমরা যখন বিষয়গুলো নিয়ে পড়তে থাকবো, তখন আমরা যেমন এই ভাগগুলোর তফাৎ আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবো, তেমনই বুঝতে পারবো যে একটা পর্যায়ে গিয়ে এরা সবাই এক হয়ে গেছে।